৮ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ১৪শ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২১

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

পাঠ্যপুস্তক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা নেয়া যেতে পারে শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ এবং উপযুক্ত কুরআন হাদিসের দলিলসহ উপস্থাপন করতে হবে। প্রয়ােজনে অভিভাবকের সহযােগিতা নেয়া যেতে পারে মােবাইল বা যে কোন ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যােগাযােগ করা যেতে পারে ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। অ্যাসাইনমেন্ট স্বহস্তে লিখতে হবে।

উত্তর শুরুঃ

কুরআন-হাদিসের আলােকে সমাজ সেবার গুরুত্বঃ

ভূমিকাঃ সামাজের বঞ্চিত জনগােষ্ঠীর কল্যাণে স্বেচ্ছায় গৃহীত কাজকে সামজ সেবা বলে। ব্যাপক অর্থে মানবকল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মসূচিই হচ্ছে সমাজসেবা। সমাজে নানা শ্রেণি ও পেশার লােক বাস করে। তারা সকলে সমান নয়। তাদের সুযােগ সুবিধা ও সমান নয়। কেউ বিপুল সম্পদের অধিকারী আবার কেউ কর্মহীন। সম্পদশালী ব্যক্তিগণ অভাবী জনগােষ্ঠীর উন্নয়নেও তাদের সম্পদ ব্যয় করবে। সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠান গড়বে। এটাই ইসলামের নিদেশ। মহান আল্লাহ বলেন-

অর্থঃ *এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক। অথশালী ব্যক্তি সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে এমন প্রতিষ্ঠান গড়বে, যে প্রতিষ্ঠানে অভাবী লােকেরা কাজ করে তাদের আর্থিক সমস্যার সুরাহা করবে। বাচার অবলম্বন খুজে পাবে। গ্রামের উন্নয়নের বিরাট বাধা দূর করার জন্য গ্রামে-গঞ্জে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তােলাসহ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলা সমাজসেবামূলক কাজ। সমাজকে অশিক্ষা ও নিরক্ষরতার হাত থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন-
অর্থঃ “পাঠ করুন আপনার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন”।

হাদিসে বলা হয়েছে;
অথ্থঃ জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। সবস্তরের জনগণের উপকারে আসে এমন সব কাজের অভ্যাস ছােটবেলা থেকেই করা দরকার। যেমন- ভাঙা রাস্তা মেরামত করা, নতুন রাস্তা নির্মাণ করা, বৃক্ষ রােপণ করা, বৃক্ষ সংরক্ষণ করা, পুল নি্মাণ করা ইত্যাদি।

কোভিড পরিস্থিতিতে যে সব সহায়তা লাগবে তার তালিকাঃ

বর্তমান কোভিড আমাদের দেশের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবার গরিব। তারা ঠিকমত তিন বেলা ভাত খেতে পারে না। তাই এই কোভিড পরিস্থিতিতে ধনী বা সরকার তাদেরকে যেসব সহায়তা

করার দরকার তার একটি তালিকাঃ

  • ১.সকলের মধ্যে মাস্ক বিতরন।
  • ২.সকলকে বিভিন্ন হ্যান্ড সেনিটাই জার বিতরন।
  • ৩.যারা কাজ করতে পারছে না,তাদেরকে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
  • ৪.যারা আর্থিকভাবে কষ্টের মধ্যে আছে, তাদেরকে সহায়তা করা।
  • ৫.এটির কারণে অনেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা।
  • ৬.এটির কারণে অনেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে, তাদেরকে খাদ্য বিতরন করা।
  • ৭.অনেক গরিব -এতিম খাবার খেকে পারছে না,,কারন তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে,, তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়।
  • ৮.যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে,,তারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না,,তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া।
  • ৯.অনেক পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি মারা গিয়েছে,,ঐসব পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। নানানভাবে এই পরিস্থিতিতে অনেকে অনেক সমস্যার মধ্যে বিদ্যমান। তাই,আমাদের কে যে যেভাবে পারে সেবার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
  •  

যেভাবে অর্থসংগ্রহ করা যেতে পারে তার পরিকল্পনাঃ

আমরা সামজিক জীব। ধনী-গরিব মিলেই আমাদের এই সমাজ। আমরা যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠ সমাজ গড়ে তুলতে পারি । তাই আমাদের কিছু পদক্ষেপ বা পরিকল্পনা করা দরকার। যেখানে সব শ্রেণির লােক যাতে সহায়তা পায় সে ব্যবস্থা করা। এজন্য আমাদের দরকার অ্থ বা টাকা। সমাজের সব ধরনের মানুষ যদি সহায়তা করে তাহলে আমরা সুষ্ঠ সমাজ গড়ে তুলতে পারবাে।

যেভাবে অর্থ বা টাকার যােগান দিতে হবে এ পরিকল্পনা নিম্নে দেয়া হলােঃ

ক) একটি গ্রাম বা একটি ওয়ার্ড অথবা একটি থানা মিলে একটি সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে এর মাধ্যমে অর্থের যোগান সম্ভব।

খ) মাসিক চাঁদার মাধ্যমে। এখানে ধনী, গরিব সর্বস্তরের মানুষ থাকবে।

গ) বিদেশি ফান্ড খুলে। যেখানে বিদেশি মানুষেরা অর্থ দিবে।

সংগৃহিত অর্থ উক্ত জনগােষ্ঠির সহায়তার জন্য যেভাবে ব্যয় করবে তার নির্দেশনাঃ

এখন সবচেয়ে বড় কাজ হলাে এই অথ বা সহায়তা যেভাবে নিরদিষ্ট মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে তার সুষ্ঠ পরিকল্পনা করা এবং তাদের ভালাে-মন্দ যাচাই করে তাদের কোন খাতে ব্যয় করলে ভালাে হবে তা যাচাই করে ব্যয় করতে হবে। সংগৃহিত অর্থ উক্ত জনগােষ্ঠির সহায়তার জন্য যেভাবে ব্যয় করবাে তার

নির্দেশনাঃ

১) তাদের উন্নয়নে ব্যবহার করা।
২) যাদের খাদ্য নেই তাদেরকে খাদ্য দেয়া।
৩) যাদের ঘর-বাড়ি নেই তাদের ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া।
৪) যাদের পড়া-লেখার সুযােগ নেই তাদের পড়া লেখার সুযােগ করে দেয়া।
৫) স্কুল-কলেজ না থাকলে স্কুল কলেজ করে দেয়া।

মােট কথা, এই সংগৃহিত অথ্থ বা টাকা যাতে সমাজের মানুষের কাজে লাগে সেভাবে ব্যয় করা।

অর্থ সংগ্রহের চেয়ে বড় বিষয় হলো তা সুষ্ঠু বন্টন করা। কেননা সংগৃহীত অর্থ যথাযথ জনগোষ্ঠীর নিকট না পৌঁছালে সমাজের অবস্থা এবং চিত্র পরিবর্তিত হবে না। তাই সংগৃহীত অর্থ বন্টনে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমে নির্বাচন করতে হবে সমাজের সংকটাপন্ন অবস্থার পরিবার সমূহ। অতঃপর নির্বাচন করতে হবে তাদের কেমন সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন, যেমন- আর্থিক, খাদ্য, শিক্ষা সামগ্রী ইত্যাদি। অতঃপর সংগৃহিত অর্থ যে কোন উপায়ে তাদের মাঝে বন্টন করার মাধ্যমে সমাজকে সুন্দর ও সমৃদ্ধি করা যাবে।

class 8 islam and moral education assignment answer 2021 14th week

Check Also

সপ্তম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

সপ্তম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের গণিত অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ প্রিয় শিক্ষার্থী  আপনি যদি ৫ম সপ্তাহের সপ্তম …