৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ২০২১ ৭ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর ২০২১ আজকের পোস্টে, আমি তোমাদের ষষ্ঠ,৭ম,৮ম,৯ম শ্রেণির ১৬তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করবো।ষষ্ঠ, ৭ম থেকে ৯ম ও ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৬তম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট।
সপ্তম শ্রেণির ১৬ তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
এসাইনমেন্ট) কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং পরবর্তীতে অগাস্ট মাসের ১১ তারিখে পূণরায় এ্যাসাইনমেন্টের কার্যক্রম শুরু করা হয়।” বিভিন্ন বিষয়ের উপর এসাইনমেন্ট গ্রহন করার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।
৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ২০২১
অধ্যায়ের শিরােনাম: অধ্যায়-তৃতীয়; ভৌগােলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
১। উপস্থাপনে সুন্দরবনের বিভিন্ন তথ্য ও ছবি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
২। ছবি হাতে আঁকা বা অন্য কোনাে উৎস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
৩। পােস্টারে সুন্দরবনের গুরুত্ব বুলেট পয়েন্টে উপস্থাপন করা যাবে।
৭ম শ্রেণির ১৬ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর
answer:
সমাধান: নিন্মে ইউনেস্কো কর্তিক ঘােষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি পােস্টার উপস্থাপন বাতৈরি করা হলাে।
সুন্দর বন ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ হলেও বাংলাদেশেই বেশিরভাগ অঞ্চল রয়েছে এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সুচিবদ্ধ হয়েছে। যথাক্রমে সুন্দর বন ও সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান নামে।
সুন্দরবনের অবস্থানঃ সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগরের উপকুলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্তু বনভুমি। বিশ্বের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে এটি অন্যতম। পদ্মা,মেঘনা, ও ব্রহ্মপুত্র নদীদ্বয়ের অববাহিকায় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরুপ বনভুমি।
বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগের হাট,পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা মিলে সুন্দরবনের অংশ। সুন্দরবনের মােট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলামিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশ হলাে ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার বাকী অংশ হলাে ভারতীয়দের। সুন্দরবনে জালের মতো জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভুমির লবনাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রয়েছে। এটি দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস। এই বন কাঠের উপর নির্ভরশীল শিল্পে কাচামালের জোগান দেয়। এই বন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ধেকে আমাদের রক্ষা করে।
বাংলাদেশে সুন্দরবনের গুরুত্ব নিম্নরুপঃ
১. সুন্দরবনে প্রচুর পরিমান সুন্দরী,গেওয়া, বনকাঠি, গরান ও কেওড়া সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এই গাছগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রচুর সমৃদ্ধ করেছে।
২. সুন্দরবন বনজ সম্পদ হতে প্রচুর কাঠ, জ্বালানি সংগ্রহ করা হয়।
৩. সুন্দরবন থেকে প্রচুর মধু সংগ্রহ করা হয়।
৪. এই বন থেকে প্রচুর শামুক ও ঝিনুক সংগ্রহ করা হয়। সুন্দরবনে মােট ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।
৫. সুন্দরবনের জেলেরা প্রচুর পরিমান মাছ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
৬ সুন্দর বনে প্রচুর পরিমানে উদ্ভিদ থাকায় প্রাণীকুল সহজে টিকে থাকতে পারে।
৭ সুন্দরবনে যে সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে তা পরিবেশের জন্য অনুকুল।
৮. এই বনে প্রচুর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে বলে অনেক লােক সহজে জীবিকা নির্বাহ করে।
৯. এই বন আছে বলে বাংলাদেশের মত নিম্ন অঞ্চল এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে না।