২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর | class 6 bangladesh o bisso porichoy assignment 2nd week 2022: ২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের জন্য ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রশ্ন প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণি পরীক্ষার্থীরা ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর।
চলমান Covid-19 মহামারীর কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুনর্বিন্যাস কৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়ন এর আওতায় আনার জন্য ২য় সপ্তাহের ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
৬ শে ফ্রেরুয়ারি ২০২২ থেকে ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে। ২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা তাও বাসায় বসে উত্তর প্রদান করে তা নিজ দায়িত্বে যত দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকের নিকট হস্তান্তর করবেন।
২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর | class 6 bangladesh o bisso porichoy assignment 2nd week 2022
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের সকল শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের সকল শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬শে ফ্রেরুয়ারি ২০২২ তারিখে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২০২২ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি ২০২২ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সম্পর্কিত নির্দেশনা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি।
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ২য় সপ্তাহ
শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠার জন্য এই মহামারীর সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসাইনমেন্ট এর ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর প্রকাশিত হয়েছে। এই উত্তর দেখে শিক্ষার্থীরা এসাইনমেন্ট এর সমাধান কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা পাবেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২০২২ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নমুনা হিসেবে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর | class 6 bangladesh o bisso porichoy assignment 2nd week 2022
অ্যাসাইনমেন্ট ১
২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ও মূল্যায়ন নির্দেশনা
বিষয়ঃ বাংলাদেশে ও বিশ্বপরিচয়
শ্রেণি : ৬ ষ্ঠ
অ্যাসাইনমেন্ট ( শিরোনামসহ )
☞ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরােধ আন্দোলন।
শিখনফল/বিষয়বস্তু:
☞ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
☞ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিরা কীভাবে প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিল তা বর্ণনা করতে পারবে।
নির্দেশনা :
ক) প্রতিবেদনের বিষয়ের আলােকে ভূমিকা লিখতে হবে।
খ) বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ বর্ণনা করতে হবে।
গ) প্রতিরােধ আন্দোলনের উপায় বর্ণনা করতে হবে।
২০২২ সালের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর | class 6 bangladesh o bisso porichoy assignment 2nd week 2022
৬ষ্ঠ শ্রেণির ২য় সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এখান থেকে শুরু
প্রশ্ন: বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরোধ আন্দোলন ।
( ক ) ভূমিকাঃ – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয়েছিল , কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম যুগ – যুগ ধরে চলে এসেছিল । অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত ও অসংখ্য মা – বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এর সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে । এ দিন পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ শোকাবহ , লোমহর্ষক অন্যদিকে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ও বীরত্বপূর্ণ ।
( খ ) বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ:
নিচে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ৪ টি প্রধান কারণ আলোচনা করা হলো
বৈষম্যদূর : পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা পশ্চিমের স্বত্বেও সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দে বৈষম্য ছিল পাহাড় সমান । পাকিস্তানের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ( ১৯৫০-৫৫ ) কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দের মাত্র ২০ শতাংশ পেয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান । তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ( ১৯৬৫-৭০ ) সেই বরাদ্দ বাড়লেও তা হয়েছিল ৩৬ শতাংশ । এক হিসাবে ২৫ বছরে পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাচার এই টাকার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার এছাড়াও আরও অনেক বৈষম্য বিরাজমান ছিল , যা লিখে শেষ করার মত নয় ।
দেশকে শোষকের হাত থেকে রক্ষা করাঃ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আর্থ – সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে চরম শোষণের শিকার হতে থাকে । এমনকি তারা আমাদের মুখের ভাষা বাংলাকেও কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় । পূর্ব পাকিস্তানে শতকরা ৫৬ জনের মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি শতকরা ৭ ভাগ লোকের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে ।
এ দেশের ছাত্র – জনতা তা মেনে নেয়নি । প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার আপামর জনসাধারণ । এই অশুভ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালিরা সজাগ ছিল বলেই ক্রমাগতভাবে একটা প্রতিরোধ গড়ে ওঠে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে এই প্রতিরোধই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা- -সংগ্রামে রূপান্তরিত হয় ।
দেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করাঃ ২৫ শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগের পর পাকিস্তান পৌঁছানোর আগেই ঢাকায় গণহত্যা শরু হয় । আর সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে । কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ শে মার্চ রাতের শুরুতেই ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান তিনি । আর আগে ৭ ই মার্চের ভাষণেই তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেছিলেন , যার যা আছে তা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ।
হানাদার বাহিনীর অন্যায় ও দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করাঃ ১৯৭১ সালের এই ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের ( তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ) মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পকিস্তানি হানাদার বাহিনী । এই ভয়াবহ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করে বাঙালি জাতি । এই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘ অপারেশন সার্চ লাইট’র নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বিশ্বের ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা মেতে উঠে । ‘ অপারেশন সার্চ লাইট ‘ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা । পোড়া মাটি নীতি নিয়ে নেমেছিলো পকিস্তানি ঘাতকরা ।
(গ) প্রতিরোধ আন্দোলনের উপায় বর্ণনা:
মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের ৪ টি উপায় নিচে তুলে ধরা হলো :
গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরোধঃ ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই গেরিলাদের অবদান ছিল অনেক বেশি । পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন মূল সড়ক , জাহাজ ও শহরে আস্তানা গাড়ত , তখন গেরিলারা অস্ত্র আর গ্রেনেড হাতে লুকিয়ে থাকত নৌকার ছইয়ের ভেতর , রাতের আঁধারে মাইন নিয়ে সাঁতরে গিয়ে সেটা লাগিয়ে দিয়ে আসত পাকিস্তানিদের জাহাজে । অতর্কিত হামলাালিয়ে উড়িয়ে দিত ব্রিজ , রেলপথ । দেখা গেল মাত্র চার- পাঁচজন গেরিলা যোদ্ধার ভয়েই তটস্থ থাকত গোটা একটা সেনাবহর বিভিন্ন আঞ্চলিক বাহিনীর মাধ্যমে
প্রতিরোধ:
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের অভ্যন্তরে বেশকিছু বাহিনী গঠিত হয়েছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তি প্রচেষ্টায় । আঞ্চলিক এসব বাহিনীগুলো যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের মধ্যে অবস্থান করেই পাকিস্তানি বাহিনী ও এ দেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল । যেমন- কাদেরিয়া বাহিনী , বাতেন বাহিনী আফসার বাহিনী , হেমায়েত বাহিনী , হালিম বাহিনী প্রমুখ । তিনি বলছেন , এস বাহিনীর অবদান যথার্থভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পায়নি ।
আকাশপথে প্রতিরোধ:
মুক্তিযোদ্ধারা স্থল , জলপথের পাশাপাশি প্রচণ্ড আক্রমণ করে ইস্যুতে । অন্যদিকে বেহাল অবস্থা দেখে ‘ পূর্ব পাকিস্তান – এর পুতুল শাসক গভর্নর ডা . মালিক দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানায় । বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিমান বাহিনী মূলত ৩ ডিসেম্বর রাত ১ টায় বিমান হামলা শুরু করে । কিন্তু ৫ ডিসেম্বর সেটা বিধ্বংসী আকার ধারণ করে । বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর অধিকাংশ বিমান ধ্বংস করা হয় ।
মিত্র বাহিনীর প্রতিরোধ:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ২১ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠন করা হয় । তারপর ৬ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে । এর ফলে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত হয় ।
উপসংহার: পরিশেষে বলতে পারি অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছে আমাদের দেশের স্বাধীনতা । তাই এই স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য ।